রাস্তা দিয়ে হাঁটতেছি । একটা সুন্দরী মেয়ে দেখে বেশ কয়েক বার তাকালাম । মেয়েটা হুট করেই আমাকে বলে বসলো, কি ব্যাপার ? সুন্দরী মেয়ে দেখলেই তাকাতে হয় ? জীবনে মেয়ে দেখেন নি ? আমি বললাম সরি ভুল হয়েছে । আর তাকাবো না, বলে চলে আসলাম । -> দুই দিন পর একটা মেয়ে আমাকে দেখে এভাবে বেশ কয়েকবার তাকালো । এরপর আমি গিয়ে উনাকে বললাম, কি ব্যাপার ? সুন্দর ছেলে দেখলেই তাকাতে হয় ? জীবনে ছেলে দেখেন নি ? মেয়েটা তখন তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বলল, উরিসশালা ! যেই না চেহারা আবার নাম রাখছে পেয়ারা । তুই কি এমন হিরো যে তোকে আমার দেখতে হবে ? আয়নায় মুখ দেখছোস কখনো ? আমি তখন বললাম আমার ভুল হইছে । বলে আবার সরি বলে চলে আসলাম ।
=> একদিন বাসে করে যাচ্ছি । ভীড়ের মধ্যে এক মেয়ের শরীরে হাত লেগে গেল । মেয়েটা তখন চিল্লায়ে বলে উঠলো, লুইচ্চা বদমাইশ ! মেয়ে দেখলেই ধাক্কা দিতে ইচ্ছে করে ? বাসায় মা বোন নাই ? আমি তন্দ্রা খেয়ে দাঁড়ায় আছি । বাসের লোকজন কটমট করে আমার দিকে তাকাচ্ছে । কেউ মারার জন্য শার্টের হাতা গুটাচ্ছে । আমি তখন বললাম সরি আমার ভুল হইছে । আমাকে তখন বাস থেকে নামায় দেওয়া হলো । এর কয়েকদিন পর একই রকম ভাবে চলন্ত বাসে এক মেয়ের হাত আমার শরীরে লাগলো । আমি তখন চিল্লায়ে বললাম, লুইচ্চা ডাইনী ! ছেলে দেখলেই ধাক্কা দিতে ইচ্ছে করে ? বাসায় বাপ ভাই নাই ? মেয়েটা তখন উল্টা ঝারি দিয়ে বলল, আরে ভাদাইম্যা বেটা তোরে ধাক্কা দিতে কি ঠেকা পরছে আমার ? আমার কি খাইয়া কাজ নাই যে তোকে ধাক্কা দিমু ? ভুল করেও যে গায়ে হাত লাগতে পারে এটা মাথায় ঢুকে না ? আমি আবার তন্দ্রা খেয়ে গেলাম । বাসের বাকী লোকজন আমার দিকে তাকিয়ে বিদ্রুপের হাসি হাসছে । আমি তখন আবার মেয়েটাকে সরি বলে বাস থেকে নেমে গেলাম ।
=> আমার এক বন্ধু একটা মেয়েকে পছন্দ করে । সেই মেয়েটা আবার আমাকে পছন্দ করে । একদিন আমার বন্ধু মেয়েটাকে প্রপোজ করে বসলো । মেয়েটা শপাং করে আমার বন্ধুকে মারলো এক থাপ্পড় । যারা উপস্থিত ছিল সবাই বলল উচিত বিচার । একদম ঠিক হইছে । এর কয়েক দিন পর মেয়েটা আমাকে প্রপোজ করে বসলো । আমি তখন শপাং করে মারলাম এক থাপ্পড় । কিন্তু একি ! থাপ্পড় দেওয়ার সাথে সাথেই উপস্থিত মানুষজন আমাকে ধরে ফেললো । কয়েক জন নাকে মুখে কয়েকটা বসিয়েও দিলো । তারপর বেঁধে রাখলো । আমার বাবা মা মেয়ের বাবা মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে আমাকে বাড়ি নিয়ে আসলো ।
=> এক মেয়ে লুঙ্গী পরে ফেইসবুকে ছবি আপলোড দিলো । শিরোনামে লিখলো, ইয়াহহহহহ..... আমিও পারি লুঙ্গী পরতে । সেখানে কমেন্ট গুলো ছিলো এরকম: জোশ লাগছে আপ্পু, ফাটাফাটি, অস্থির লাগছে, এবার লুঙ্গীও দখল ওয়াও । এর কয়েক দিন পর আমিও ফেইসবুকে শাড়ী পরে একটা ছবি আপলোড দিলাম । শিরোনামে লিখলাম, ইয়াহহহহ.... আমিও পারি শাড়ী পরতে । সেখানে কমেন্ট গুলো ছিলো এরকম: শালা হাফ লেডিস, হিজড়া একটা, পাবনা যাও, ছেলেদের ইজ্জতটা আর রাখলি না ।
=> চাকুরীর ভাইভা দিতে গেছি । ওয়েটিং রুমে বসে আছি । আমার পাশে একটা মেয়ে আছে সেও ভাইভা দিতে আসছে । উনার সাথে কথা বার্তার এক পর্যায়ে উনার কাগজপত্র গুলো দেখলাম । উনার চাইতে আমার রেজাল্ট বেশ ভালো । মেয়েটার আগেই আমার ডাক পড়লো । ভাইভা দিলাম খুব ভালোই । এরপর মেয়েটা গেলো । আমি বসে থাকলাম মেয়েটার ভাইভা কেমন হয় জানার জন্য । মেয়েটা ফিরে এসে বলল তার ভাইভা ভালো হয় নি । বলতে গিয়ে মেয়েটা কেঁদেই ফেলল । আমি তখন মেয়েটাকে শান্তনা দিলাম । মনে মনে আমি খুশী । যাক চাকুরীটা তাহলে আমার হয়ে যাবে হয়তো । কিন্তু যেদিন ভাইভার ফল বের হলো সেদিন জানলাম যে অফিস থেকে মেয়েটাকেই সিলেক্ট করা হয়েছে আমাকে নয় ।
=> একদিন বাসে অনেক কষ্টে একটা সীট পেলাম । কিছুক্ষণ যাওয়ার পর পরের স্টপেজে একটা মেয়ে উঠলো । মেয়েটা দাঁড়িয়ে যাচ্ছে আমি বসে যাচ্ছি এই বিষয়টা আমি নিতে পারলাম না । মেয়েটাকে বললাম আপনি বসেন আমি দাঁড়িয়ে যাচ্ছি । মেয়েটা বসে পড়লো । আমি সারা পথ দাঁড়িয়ে গেলাম । এর কিছুদিন পর আমি খুব অসুস্থ অবস্থায় বাসে উঠলাম । বাসে কোনো সীট পেলাম না । অনেক কষ্ট হচ্ছিল আমার। আমার পাশেই বেশ কয়েকটা মেয়ে সীটে বসে হৈ হুল্লোর করে যাচ্ছিলো । কিন্তু কেউ আমাকে অসুস্থ দেখেও একটা সীট ছেড়ে দিলো না ।
